পুতিন-জেলেনস্কির পর, এখন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কে ফোন করলেন? জ্বালানি, বাণিজ্য, সংযোগ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, August 12, 2025

পুতিন-জেলেনস্কির পর, এখন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কে ফোন করলেন? জ্বালানি, বাণিজ্য, সংযোগ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা

 


রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কির সাথে ফোনে কথা বলার পর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এখন উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রপতি শাভকাত মিরজিওয়েভ ফোন করেছেন। মিরজিওয়েভ প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং দেশের জনগণকে ৭৯তম স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি, উভয় নেতা শক্তি, বাণিজ্য, সংযোগ এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এই কথোপকথনটিও গুরুত্বপূর্ণ কারণ উজবেকিস্তান পাকিস্তানের প্রতিবেশী এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ইরানের চাবাহার বন্দরের সাথে সংযোগ স্থাপনের প্রবেশদ্বারও।


উভয় নেতা ভারত ও উজবেকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য তাদের দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন। উভয়েই একমত হন যে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে ভারত ও মধ্য এশিয়ার মধ্যে প্রাচীন ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর হবে, যাতে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যায়।

উজবেকিস্তান কেন বিশেষ?

১. নির্ভরযোগ্য আঞ্চলিক অংশীদার

আমেরিকা রাশিয়া থেকে তেল ক্রয় কমাতে ভারতকে চাপ দিচ্ছে। এমন সময়ে, ভারতের এমন আঞ্চলিক অংশীদারদের প্রয়োজন যারা কেবল রাজনৈতিকভাবে নির্ভরযোগ্য নয়, বরং বিকল্প জ্বালানি, বাণিজ্য এবং নিরাপত্তা সংযোগও রাখে। উজবেকিস্তান এই ভূমিকায় উপযুক্ত, কারণ এটি মধ্য এশিয়ার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এবং ইরানের চাবাহার বন্দরের সাথে ভারতের সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি প্রবেশদ্বারও।

২. রাশিয়া-উজবেকিস্তান-ভারত পথ
রাশিয়া উজবেকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী অংশীদার এবং ভারতের পুরনো বন্ধু। যদি আমেরিকার সাথে সম্পর্ক ঠান্ডা হয়, তাহলে ভারত উজবেকিস্তানের মাধ্যমে রাশিয়া-ভারত-উজবেকিস্তান ত্রিভুজ সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে পারে। তা প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি হোক, যুদ্ধ মহড়া হোক বা খনিজ পদার্থ। উজবেকিস্তানের ইউরেনিয়াম, সোনা এবং বিরল ধাতু রয়েছে, যা ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা এবং উচ্চ প্রযুক্তি শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৩. চীনকেও প্রতিফলিত করুন
চীন বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI) এর অধীনে মধ্য এশিয়ায় তার অবস্থান শক্তিশালী করছে, যার মধ্যে উজবেকিস্তানও রয়েছে। ভারত যদি উজবেকিস্তানের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলে, তাহলে এটি চীনের একতরফা অবস্থানের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। এ ছাড়া, উজবেকিস্তান আফগানিস্তানের ঠিক উত্তরে অবস্থিত, যেখানে চীন এবং পাকিস্তানও সক্রিয়। এটি ভারতের জন্য একটি প্রতি-প্রভাব বিন্দু হয়ে উঠতে পারে। উজবেকিস্তান পাকিস্তানের প্রতিবেশী।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad